লাল শাকের বিস্ময়কর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

প্রকাশঃ মার্চ ২২, ২০১৭ সময়ঃ ১১:৫৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১১:৫৫ অপরাহ্ণ

লাল শাক শুধু খেতেই সুস্বাদু  নয়, এই লাল শাকে যে কতো রকমের পুষ্টিগুণে লুকিয়ে আছে তা আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের দেহের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য লাল শাকের গুরুত্ব অনেক বেশি। লাল শাক ভাজি, বা ছোট কোন মাছ দিয়ে লাল শাকের ঝোল খেতে কে না ভালোবাসে। তবে লাল শাকের পুষ্টিগুণের জানলে এই শাকটি কাবার জন্য সবার আগ্রহ বেড়ে যাবে। প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য এ পর্বে থাকছে লাল শাকের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্ময়কর তথ্য।—-

রক্তশূণ্যতা রোধ করতে লাল শাক খুব উপকারী, কারণ এতে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। লাল শাক দিয়ে আপনি জুস বানিয়েও খেতে পারেন। কিছু সাধারণ উপাদান যেমন- ডিম, মধু, লেবুর রস ও লাল শাক একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন , এরপর ব্লেন্ড করে সামান্য পানি মিশিয়ে খেয়ে নিন। ভালো ফলাফল পেতে প্রতিদিন একবার খাওয়া উচিৎ।

কিডনির ফাংশনগুলো ভালো রাখতে ও কিডনি পরিষ্কার রাখতে লাল শাক খুব উপকারী। এছাড়াও যেসকল নারীরা মাত্রই সন্তান জন্ম দিয়েছেন তাঁদের জন্য লাল শাক খুব কার্যকরী।

লাল শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ; যা চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধির জন্য খুব উপকারী। তাই দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে ডায়েট মেন্যুতে রাখুন লাল শাক।

এছাড়া চুলের স্বাস্থ্যের জন্য লাল শাক ভূমিকা রাখে। লাল শাক ও লবণ একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন, তারপর ছেকে রস সংরক্ষণ করুন। রসটি চুলের গোঁড়ায় তেলের মতো করে দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই জুসটি পুরো সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করতে পারেবন চুলে। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলে মিনারেল ও পুষ্টি যোগায়।

দেহের সুস্থতায় লাল শাক যে তুলনা হয়না তা আমরা জানলাম; কিন্তু জ্বর সারাতেও লাল শাক যে কার্যকরী, তা আমরা অনেকে শুনিনি। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, জ্বরের সময় লাল শাক ভাজি প্রতিদিন খেলে দেখবেন জ্বর ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।

লাল শাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লাল শাক নিয়মিত খেলে  নানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়:

– শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করা যায়।
– এন্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
– রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।
– লাল শাকের বিটা-ক্যারোটিন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
– এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং দন্ত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে। দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।
– শিশুদের অপুষ্টি দূর করে।
– ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক যথেষ্ট উপকারি। এ ছাড়াও এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে।
– আঁশ জাতীয় অংশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
– ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবজনিত স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করে।

প্রতিক্ষণ/এডি/শওকত

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G